গরুর ভুঁড়ি এমন একটা খাবার যা প্রায় সব মানুষেরই পছন্দের কিন্তু অপরিষ্কার থাকা অবস্থায় দেখেই নাক সিটকান অনেকে। শুধু পরিষ্কার করার ঝামেলায় খাবার তালিকা থেকে এটি অনায়াসেই বাদ পড়ে যায়। রাজধানীর উত্তরার অনার্স পরীক্ষার্থী তানজিলা জামান বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলেন। সেই ভাবনা থেকেই তিনি আজ ‘রেডি টু কুক গরুর ভুঁড়ি’র সফল উদ্যোক্তা।
তানজিলার নিজেরও খুব পছন্দ গরুর ভুঁড়ি। তাই তিনি খুব ভালো করেই জানেন, রান্নার জন্য রেডি করার আগে এই ভুঁড়ি নিয়ে কতটা পরিশ্রম করতে হয়।
শহরের ব্যস্ত মানুষের এত সময় কোথায়? তাছাড়া বাজারে যে ভুঁড়ি বিক্রি হয় সেটা সেটা সম্পূর্ণ পরিষ্কার করা থাকে না। তাতে করে আস্থা রাখতে পারেন না ক্রেতারা। বিষয়গুলো চিন্তা করেই অনলাইনে ভুঁড়ি বিক্রি শুরু করেন তিনি।
স্বচ্ছল পরিবারের মেয়ে তিনি, তাই সঙ্কটে পড়ে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করেছেন এমন নয়। শখের বসে শুরু করার পর মানুষের চাহিদা দেখে অবাক হয়েছেন তানজিলা। গত ৬ মাসে বিক্রি করেছেন ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকার ভুঁড়ি। তিনি বলেন, এটা দ্বারা প্রমাণ হয়, খাবারটির চাহিদা থাকলেও সঙ্গত কারণেই মানুষ এটা খেতে পারছিলেন না।
নিজের এতটা সাফল্যের আরেকটা কারণ বলছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, বাজারে যে ভুঁড়ি বিক্রি হয় সেটা পরিষ্কার করা হয় চুন বা সোডা দিয়ে। এতে একদিকে যেমন গন্ধ থাকে তেমনি ভুঁড়ির আসল স্বাদটা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আমি শুধু গরম পানি দিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে পরিষ্কার করি, তাতে স্বাদ অটুট থাকে।